Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: আমাদের বাংলায় (West Bengal) এমন অনেক জায়গা আছে যা এখনও পরিচিতি পায়নি।‌ বাঙালি হিল্লি-দিল্লি ঘুরে বেড়ালেও ঘরের কাছে দুর্দান্ত সব ট্রাভেল (West Bengal Travel) ডেস্টিনেশন মিস করে যায়। বাঙালি এখন ‘দীপুদা’-য় পড়ে নেই। বরং গন্ডি পেরিয়ে ঘুরে আসছে এদিক-ওদিক। কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গের এমন অনেক স্থানই বাদ চলে যাচ্ছে। লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে অবহেলা পাচ্ছে বাংলার ইতিহাস ঘেরা আশ্চর্য এক গ্রাম। আমরা বলছি, বর্ধমান ও হুগলি সীমান্তে অবস্থিত বৈদ্যপুর (Bardhaman Tourism) গ্রামের কথা।‌ নববর্ষের একদিনের ছুটিতে লং ড্রাইভে পৌঁছে যেতেই পারেন কলকাতা থেকে মাত্র দেড় ঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক গ্রামে (West Bengal Travel)।

বাংলার ইতিহাস ঘেরা গ্রাম ‘বৈদ্যপুর’…

হঠাৎ করে একদিনের ছুটিতে কোথায় যাবেন বলে ভাবছেন? আপনার হাতের কাছেই রয়েছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের সাজানো এক গ্রাম। কলকাতা থেকে মোটেই বেশি দূরে নয়। সময় লাগে মাত্র দেড় ঘন্টা। আমরা বাংলায় থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু জায়গা বাদ দিয়ে অধিকাংশ জায়গাকেই না দেখার খাতায় নাম তুলে দিই। তারই মধ্যে একটি বর্ধমান ও হুগলি সীমান্তে অবস্থিত গ্রাম বাংলার বৈদ্যপুর। বাংলার মধ্যযুগে এই গ্রামের বিশেষ নামডাক ছিল।

জেনে নিন ‘বৈদ্যপুরের’ ইতিহাস…

একদা বাংলার এই গ্রামে বসবাস ছিল বহু বৈদ্য পরিবারের। মানে যারা চিকিৎসক। মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লেখ রয়েছে এই গ্রামের কথা। মনসামঙ্গল কাব্যে বেহুলা তাঁর স্বামী লক্ষিন্দরকে নিয়ে এই গ্রামে এসেছিল। যদিও আজ এই গ্রামের আশপাশ বদলে গিয়েছে। তবে প্রাচীন সাক্ষ্য বহন করা বহু মন্দির রয়ে গিয়েছে সময়ের প্রবাহে অস্তিত্ব হয়ে। আপনি যদি এই গ্রামে যান, তাহলে প্রাচীন গন্ধের সঙ্গে ছোঁয়া পাবেন বহু যুগ আগের ইতিহাসের। গ্রামের প্রধান আকর্ষণ এই মন্দির, বঙ্গ ইতিহাসের সাক্ষ্য প্রমাণ।

আরো পড়ুন  H.S Examination 2024 | উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল্প্রকাশ কবে? কিভাবে রেজাল্ট চেক করবেন, জেনে নিন

বৈদ্যপুরে কি কি দেখতে পাবেন?

এই গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ জোড়া দেউল মন্দির। নৃসিংহদেবের এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয় আনুমানিক ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে। ইট দিয়ে নির্মিত এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজ। জানা যায়, স্থাপত্যের কারণে ১৯১৩ সালে এই দেউলকে ঘোষণা করা হয়েছিল মাহাত্ম্যপূর্ণ স্মারক। জোড়া দেউল মন্দির ছাড়াও এখানে রয়েছে টেরাকোটার শিব মন্দির। ১৮০২ সালে তৈরি নবরত্ন ও আটচালা রীতির শিবমন্দির রয়েছে এখানে। টেরাকোটা মন্দির ছাড়াও গ্রামের জমিদার নন্দী পরিবারের রাসমঞ্চ, দোলমঞ্চ, নহবতখানা-সহ নানান স্থাপত্য রয়েছে বৈদ্যপুর গ্রামে।

কিভাবে যাবেন বৈদ্যপুর?

কলকাতা থেকে মাত্র ৯০ কিমি দূরে অবস্থিত বৈদ্যপুর গ্রামে যাওয়ার জন্য‌ সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা। সরাসরি গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারেন। চাইলে রেলপথেও পৌঁছে যেতে পারেন বৈদ্যপুর। ইতিহাস সন্ধানী এবং ঐতিহ্য প্রিয় মানুষেরা এই গ্রামের আনাচে কানাচে খুঁজে পাবেন ভালোলাগা। একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসার জন্য আদর্শ এই গ্রাম। নিঃসন্দেহে ইতিহাসের ছোঁয়া পেয়ে বাংলার অতীতকে মনে প্রাণে উপভোগ করতে পারবেন।

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।