Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: বাঙালি চিরকালই আনকোরা। ঘুরতে যাওয়া নামে খুশি হয়ে যায় মন। এহেন ভ্রমনপ্রিয় (Travel) বাঙালি চান বাড়ির কাছেই চোখ জুড়ানো টুরিস্ট স্পট (West Bengal Tourism)। এদিকে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্তের রেশ। পলাশ ফুলে চেয়ে গিয়েছে ভুবন। মন ভরে পলাশ দেখতে কে না চান! পলাশের টানে মানুষ ছুটে চলেন পুরুলিয়ায় (Purulia Tourism)। যার ফলে ভিড় বাড়ে, আর অফবিট হয়ে ওঠে ভিড় ও কোলাহলে পূর্ণ।

বসন্তে আরেকটা জায়গাও ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির বিশেষ প্রিয়। তা হল শান্তিনিকেতন।‌ সেখানেও বোগেনভেলিয়ার রং, আর বসন্তের রূপ মাধুরী উপচে পড়ে। কিন্তু ইদানিং বেশ ভিড় হচ্ছে শান্তিনিকেতনেও। থাকার জায়গার অভাব দেখা যাচ্ছে প্রায়শই। বাড়ির কাছে উইক এন্ড টুরিস্ট ডেস্টিনেশন হওয়ায় ছুটে চলেন সবাই। যার ফলে সর্বত্র ভিড়ে ঠাসাঠাসি। তাহলে বসন্তে কি বাড়িতে বসে থাকবেন? তা কখনো হয় নাকি? আমাদের বাংলাতেই রয়েছে এমন এক অফবিট টুরিস্ট স্পট যা কিনা পলাশের রঙে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বসন্তে। সেভাবে পরিচিত না হওয়ায় এখনো সেখানে কোলাহল ভিড় কম। এবারের বসন্তের ছুটি সেখানেই কাটাতে চাইলে অবশ্যই পড়ে নিতে হবে আজকের এই প্রতিবেদনটি।‌

পলাশ দেখতে কোথায় যাবেন?

আমাদের বাংলাতেই রয়েছে পলাশের রঙ্গে পলাশী ক্ষেত্র। না না মোটেই যুদ্ধক্ষেত্র নয়! লোহিত রূপ লবণ্যে সজ্জিত এই টুরিস্ট স্পটটি পুরুলিয়া থেকে বেশি দূরে নয়। বসন্ত এলেই এখানে ঝাঁকে ঝাঁকে পলাশ ফুটে থাকে। লাল হয়ে থাকে এলাকাটি।বলাই বাহুল্য একবার গেলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য্য যা চোখ জুড়িয়ে যায়। মনে হয় এখানেই থেকে যাই সব সময়। আসলে পলাশ প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য এই এলাকা। পুরুলিয়ার কথা মনে আসতেই অনেকে ধন্দে দিয়ে পড়েন বেশি পলাশ কোথায় দেখতে পাওয়া যাবে। অযোধ্যার দিকে যাব, নাকি বড়ন্তির দিকে? এর সহজ উত্তর রইল এখানেই।

আরো পড়ুন  Digha: বর্ষায় দিঘা যাবেন? আপনার জন্য অপেক্ষায় আছে বিরাট চমক! জানেন কি?

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে প্রতিবছর মানুষের ভিড় জমে। তাই যদি একটু অন্যদিকে যেতে চান তাহলে পাড়ি জমান বড়ন্তির দিকে। বড়ন্তি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে পলাশের বনে সাজানো এই রক্তিম টুরিস্ট ডেস্টিনেশন। বড়ন্তি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হাঁটি হাঁটি পায়ে পৌঁছে যান পলাশের কিনারে। লাল মাটি আর লাল পলাশ এখানে যেন মিলেমিশে একাকার। শুধু তাই নয়, থাকতে পারবেন পাহাড়ের উপরেও।

কোন সময় যাওয়া ভালো?

আপনার যদি প্ল্যান থাকে মার্চ-এপ্রিল মাসে তাহলে পুরুলিয়ার বড়ন্তির দিকে চলে যান। ‌ আর অবশ্যই ঢুঁ মারুন ভেটি গ্রামের দিকে। এখানে লাল পলাশ বন‌ দুচোখ জুড়ে এঁকে দেবে আপনার বসন্তের স্মৃতি। ‌ ব্যাগ ভর্তি পলাশ নিয়ে ফিরে আসবেন বাড়ি। মানতেই হবে, এই জায়গায় একবার গেলে আপনার মোটেই ফিরতে ইচ্ছা করবে না। লাল হলুদ, পলাশ বসন্তের রূপ মাধুরী রচনা করছে এই অঞ্চলে। উজাড় করা প্রকৃতি আপনাকে আঁকড়ে ধরবে দুহাতে।

বড়ন্তি কেন আকর্ষনীয়?

পুরুলিয়ার বড়ন্তি এমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে অপূর্ব। বড়ন্তি ড্যাম, সেখানকার সূর্যাস্তের সৌন্দর্য্য বিশেষ প্রশংসনীয়। এছাড়া বড়ন্তি থেকে ঘুরে নেওয়া যায় গড় পঞ্চকোট, মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম, কল্যানেশ্বরী মন্দির, তেলকুপি ইত্যাদি অঞ্চল। তবে পলাশ দেখতে হলে বড়ন্তি থেকে ভেটি গ্রাম আর বান্দার বাউলের দিকে ঘুরে আসবেন।

ঝাঁকে ঝাঁকে পলাশ কোথায়?

বড়ন্তি থেকে বান্দার বাউল যাওয়ার পথেও পাবেন পথের দু’ধারে অগুনতি পলাশের বন। গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন সে পথে। মেঠো পথ ডিঙিয়ে চলে যান পলাশ বনের দিকে।সেখানেই দেখতে পাবেন ঝাঁকে ঝাঁকে পড়ে রয়েছে পলাশ। সেই ফুলে মালা বানিয়ে পড়ে নিতে পারেন গলাতেও।তবে কাছ থেকে ফুল পেড়ে গাছের ক্ষতি করবেন না। সতর্ক ও সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন এলাকার মানুষ। ভালো হয় এলাকার মানুষের সঙ্গে আলাপ করে নিলে। তাঁদের সাথেই ঘুরে দেখতে পারবেন গোটা এলাকা।

আরো পড়ুন  Purulia: পশ্চিমবঙ্গে মিলল বিস্ময় ফুলের হদিশ! বিরল গাছ সংরক্ষণে পদক্ষেপ গ্রহণ বনদপ্তরের

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।