সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিলো নেশা কারা যে ডাকিলো পিছে, বসন্ত এসে গেছে…। বাঙালি বরাবরই ঘুরতে যাওয়ার পাগল। ছোট্ট দুই এক দিনের ছুটি পেলেই বাঙালির মন পালাই পালাই করে। তবে সব সময় বড় বাজেটের ঘোরাফেরা সম্ভব হয় না। তাই ছোট্ট বাজেটের হাতের কাছেই উইকেন্ড ডেস্টিনেশনগুলি (Weekend Destination) দিনকেদিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গেই (West Bengal Tourism) রয়েছে প্রকৃতির মনভালো করা সৌন্দর্যে গড়া এমনই কিছু ভ্রমণ ক্ষেত্র। বসন্তে যার রূপ, মাধুর্য্য উপচে পড়ে। দোল হোলির পরপর ছুটি। আর এই ছুটিতে ঘরে বসে না থেকে ঘুরে আসুন বসন্ত প্রকৃতির কোল ঘেঁষে। কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন? পকেটে কত টাকা নিয়ে বেরোবেন আজকের প্রতিবেদনে রইল তেমনি কিছু ঘুরতে যাওয়ার সুলুক সন্ধান।
১) মুকুটমণিপুরের “মুসাফিরানা…”
বাঁকুড়ার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মুকুটমনিপুর। প্রকৃতির অদম্য নেশা ছড়িয়ে রয়েছে এই অঞ্চল জুড়ে। তবে মুকুটমণিপুর তো অনেকেই গিয়েছেন কিন্তু মুকুটমণিপুরের ‘মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্টে’। গিয়েছেন কজন? সহজ পাঠের আদলে সাজানো মুকুটমণিপুরের এই ভিউ পয়েন্টটি। যার পাশে টল টলে জলের কংসাবতী নদী। এখান থেকে ঘুরে দেখা যায় কংসাবতী ড্যাম। আর খরচ মাত্র ১০ টাকা। কলকাতা থেকে গাড়িতে চলে যান মুকুটমণিপুর। সেখান থেকে ঘুরে দেখুন সুন্দর ‘মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট’। চাইলে একদিনও ঘুরে আসতে পারেন।
২) “কোরো পাহাড়ে ঘোরাফেরা…”
বাঁকুড়া জেলার একটি সুন্দর অফবিট টুরিস্ট ডেস্টিনেশন হল ‘কোরো পাহাড়’। বসন্তে যদি পাহাড়ে ঘুরে আসতে চান তবে অবশ্যই যেতে পারেন এই অঞ্চলে। বাঁকুড়া শহরের খুব কাছেই কাপিস্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই পাহাড়। অপূর্ব প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরেছে এখানে। বসন্তের নীল আকাশের নিচে, লাল মাটির গা ছুঁয়ে সবুজ পাহাড়ের রাশি মন ভালো করতে বাধ্য। বাঁকুড়া শহর থেকে মোটরসাইকেলে গেলেই সময় লাগে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। একদিনে ঘুরে আসা যায় অনায়াসেই।
৩) “নিরিবিলি সুতান ফরেস্ট…”
বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর থেকে খুব কাছেই প্রকৃতির কোলে শান্ত নিরিবিলি একটি সুন্দর টুরিস্ট স্পট সুতান ফরেস্ট। বাঁকুড়া বিখ্যাত ঝিলিমিলি এবং রানিবাঁধ হয়েও যাওয়া যায় সুতান ফরেস্টে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই সুন্দর যে কিছুক্ষণ থাকলেই মন ভরে যাবে। জঙ্গল, নদী বসন্ত প্রকৃতির অপূর্ব আভায় মন ভালো হতে বাধ্য।
৪) “সূর্যাস্তের আগে গাংদুয়া ড্যাম…”
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ডালা উজাড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাঁকুড়া জেলার গাংদুয়া ড্যাম। এমন অপূর্ব সৌন্দর্য যে হাতের কাছেই রয়েছে তা জানেন না অনেকেই। ছোট ছোট টিলা, টলটলে জল, আর শহর থেকে দূরে নিরিবিলি শান্ত ভ্রমণ কেন্দ্র। এমন একটা জায়গায় গেলে শান্ত হয়ে যায়। বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির আমারকানন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মাত্র চার কিলোমিটার এগোলেই গাংদুয়া ড্যাম। বসন্ত প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসুন এখান থেকে।
৫) “দোলের আগে ছাতনা রাজবাড়ী…”
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ছোঁয়া পেতে কে না চায়! আর তার সঙ্গে যদি থাকে বসন্ত প্রকৃতির উদ্দাম মাদকতা, তবে ঘুরে আসতেই পারেন ছাতনা রাজবাড়ী থেকে। প্রায় ৫০০ বছরের সময় কাটিয়ে ফেলেছে এই রাজবাড়ী। যার পাঁচিল জুড়ে রয়ে গিয়েছে বছর বছরের অলিখিত ইতিহাস। রাজবাড়ীর পাশেই রয়েছে বাসুলি মন্দির। এমন একটা জায়গা হতেই পারে আপনার দোলের ডেস্টিনেশন। সামন্তভূম ছাতনার সবুজে ঘেরা শান্ত নিরিবিলি স্থান ছাতনা রাজবাড়ী। কাছাকাছি সুন্দর এমন একটি টুরিস্ট স্পট থেকে ঘুরে আসুন বসন্ত মরশুমে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।