সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) দেশের আমজনতার স্বার্থে বেশ কিছু প্রকল্পের (Central Government Scheme) সূচনা করেছেন, সেই প্রকল্পগুলি থেকে নিত্য সুবিধা পেয়ে চলেছেন এই দেশের সাধারণ মানুষ। এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যেখানে সমাজের নির্দিষ্ট জনসাধারণ প্রকল্পের সাহায্য পান। আবার বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে, যে স্কিমগুলির সাহায্য পাবেন দেশের সমস্ত জনসাধারণ। আজকে আমরা এমন একটি প্রকল্প (Central Government Scheme) সম্পর্কে আলোচনা করব, যে প্রকল্পে আবেদন করলে আপনি প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন তিন হাজার টাকার অর্থ সাহায্য। কিভাবে আবেদন করবেন, আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে, আবেদন জানানোর প্রক্রিয়াটি ঠিক কি সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব আমরা আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
কেন্দ্রের তরফে প্রকল্পগুলি চালু করার টার্গেট হলো, দেশের সাধারণ মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারেন। দেশের জনতার জীবনযাত্রা মান উন্নয়নে চালু হওয়া এই প্রকল্পগুলির সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সঠিকভাবে প্রচার না হওয়ায় প্রকল্পগুলি জনসাধারণের সামনে আসে না। তাই আমরা আজকে আলোচনা করে নেব এমন এক প্রকল্প সম্পর্কে, যেখানে আবেদন করলে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। প্রকল্প সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য আমরা আলোচনা করলাম আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে। আপনি যদি এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে মন দিয়ে পড়ে নিন সম্পূর্ণটা।
কেন্দ্রের নতুন প্রকল্প ‘ই-শ্রম কার্ড’ 2024 (Central Government Scheme Eshram Card Full Details 2024)
কেন্দ্রের নতুন একটি প্রকল্প হল ইশ্রম কার্ড। এই ই-শ্রম কার্ড হল ভারতের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্ম সম্পর্কিত একটি পরিচয় পত্র। দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ পেতে হলে নাগরিকদের ই-শ্রম কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি এর আওতায় কাজ করেন, তাহলে প্রত্যেক মাসে ৩০০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য করবে সরকার। তবে এই টাকা পেতে হলে আপনাকে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তবেই আপনি প্রত্যেক মাসে কাজ এবং মাসিক ৩০০০ টাকা করে সরকারি তরফে পাবেন। এই সরকারি সুবিধা পেতে হলে ই-শ্রম কার্ড বানিয়ে নিতে হবে আপনাকে। কোন খাটুনি ছাড়াই আপনি অনলাইনে এই কার্ড বানিয়ে নিতে পারেন। আজ আমরা আপনাকে বলব, কিভাবে কার্ড বানাবেন। কিভাবে আবেদন করবেন। আসুন জেনে নিন বিস্তারিত।
১) ই-শ্রম কার্ড বানাতে পারবেন কারা? (Eshram Card Rules 2024)
দেশের সব নাগরিক ই-শ্রম কার্ড বানাতে পারবেন। তবে তাদের কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। কি কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
1. ই-শ্রম কার্ড বানাতে হলে আবেদনকারী কে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
2. ই-শ্রম কার্ড বানানোর জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি ছাড়াই এই কার্ড আপনি বানিয়ে নিতে পারবেন।
3. এই কার্ড বানানোর জন্য আবেদন জানাতে পারবেন দেশের নারী ও পুরুষ উভয় নাগরিক। এক্ষেত্রেও কোন বাদ বিচার থাকছে না।
4. তবে যে সমস্ত নাগরিক EPF, ESI এর সুবিধা ভোগ করছেন, তারা কিন্তু ই-শ্রম কার্ড বানানোর জন্য উপযুক্ত নন।
5. এই কার্ড বানানোর জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৬ বছর থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। যদি আপনার বয়সের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনিও এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
২) ই-শ্রম কার্ড এর মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাবেন?
ভারতবর্ষের যে সকল নাগরিকের কাছে ই-শ্রম কার্ড রয়েছে তারা প্রত্যেক মাসে 3000 টাকা করে পাবেন। এর পাশাপাশি, যাদের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেছে তারা তিন হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। যদি এই কার্ডের সুবিধাভোগী
এক্সিডেন্ট এর ফলে পঙ্গু হয়ে যান, তাহলে তিনি ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন। আর যদি এই কার্ডের মালিক কোনভাবে মারা যান, তাহলে তার পরিবার পাবেন তিন লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য।
৩) ই-শ্রম কার্ড বানানোর জন্য আবেদন করবেন কিভাবে? (E-Shram Card Application 2024)
প্রথমেই বলে রাখি, ই-শ্রম কার্ডের অ্যাপ্লিকেশন করতে হলে আধার কার্ড, বৈধ মোবাইল নম্বর ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাস বই থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি আরো কিছু ডকুমেন্ট লাগতে পারে। তা আপনি অ্যাপ্লিকেশন করার সময়ই জানতে পারবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক আবেদন পদ্ধতি স্টেপ বাই স্টেপ।
1. ই-শ্রম কার্ড এর আবেদন করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ভিজিট করতে হবে (http://www.eshram.gov.in/) এই ওয়েবসাইটে।
2. এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরে আপনি আবেদনপত্র পেয়ে যাবেন। অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি অবশ্যই মন দিয়ে এবং ভালো ভাবে পূরণ করুন। কোন তথ্য যেন ভুল না দেওয়া হয়। এরপরে যে যে ডকুমেন্ট আপলোড করতে বলা হয়েছে সেগুলি আপলোড করে দিন। তারপর গোটা অ্যাপ্লিকেশন একবার রিভিউ করে সেটি অনলাইনে সাবমিট করে দিন।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।