Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ আমলের ইতিহাস বুকে করে হুগলি নদীর উপর ঝুলন্ত হাওড়া ব্রিজটি (Howrah Bridge) প্রত্যেক বঙ্গবাসীর গর্ব ও অহংকার। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge) দীর্ঘ সময়ের ইতিহাসের সাক্ষী। বহু মানুষ ও জীবন যাত্রার সাক্ষী। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামানুসারে হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) নামকরণ করা হয়েছে রবীন্দ্র সেতু। প্রতিদিন প্রায় লাখ খানেক যানবাহন, দেড় লক্ষের কাছাকাছি মানুষ হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) কিছু বৈশিষ্ট্য এখনো মানুষের অগোচরেই রয়েছে।

বর্তমানে দেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম সেতুটি পশ্চিমবঙ্গের প্রতীকী হিসেবেও পরিচিত। হুগলি নদীর উপর ঝুলন্ত এই সেতু ব্রিটিশ আমলের সাক্ষী বুকে করে বেঁচে আছে। এই সেতুর ওপর বহুবছরের প্রকোপ ইতিহাসের ঝাপটা লেগে রয়েছে। দেশে তখন ব্রিটিশ রাজ, ১৯৪৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নাগাদ নদী পেরিয়ে যাতায়াতের সুবিধার্থে এই ব্রিজটি নির্মাণ করেন ব্রিটিশ সরকার। হুগলি নদীর উপর এই সেতু দুদিকে দুই শহরকে যুক্ত করেছে। হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু দেশের মধ্যে ব্যস্ততম সেতুর মধ্যে প্রথম দিকে নাম লিখিয়েছে বহু শতাব্দী হল। দিনদিন যেন এই সেতুর ব্যস্ততা আরো বাড়ছে।‌ এক মুহূর্তের জন্য সেতু ব্যস্ততা ছেড়ে থাকেনা।

বাংলার উৎসবে সেজে ওঠে হাওড়া ব্রিজ। পুজোর সময়, ও সারা বছরের নানান উৎসবের সময়ে রঙিন আলো দিয়ে হাওড়া ব্রিজ সাজানো হয়।কলকাতা শহরের নাম নিলেই বাঙালির দুচোখে জ্বলজ্বল করে ওঠে হাওড়া ব্রিজের ছবি। ‌রবীন্দ্র সেতু বাংলা ও বাঙালির মনের চিলেকোঠায় সদা বিরাজমান।

আরো পড়ুন  Kolkata: এ যেন এক অন্য ময়দান! একযোগে ময়দান পরিষ্কার! এমন প্রদর্শনী শহর আগে দেখেনি…

৭০৫ মিটার দীর্ঘ, ২১ মিটারেরও বেশি প্রস্থ এবং‌ ৮২ মিটারেরও বেশি উঁচু হাওড়া ব্রিজটিকে ‘গ্রান্ড ওল্ড লেডি অফ কলকাতার গেটওয়ে’ নামেও ডাকা হয়। শোনা যায় এই সেতুটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় ছয় বছর। ১৯৩৬‌ সালে শুরু হয়ে সেতুটির নির্মাণ কার্য শেষ হয় ১৯৪২ সালে। প্রতিবছরই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ‌ খরচ হয় প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। হাওড়া ব্রিজের সম্পর্কে এত তথ্য জানা সত্ত্বেও অনেকেই জানেন না কেন রাত বারোটায় কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় হাওড়া ব্রিজ।

আর এই ঘটনার জন্য জড়িয়ে রয়েছে একটি গল্প। শোনা যায়, ইংরেজ আমলে যখন এই ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছিল, তখন এই ব্রিজের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা ভেবেছিলেন যে হাওড়া ব্রিজের দুই দিকে থাকা স্তম্ভ দুটি ২৫ হাজার টনের বেশি ওজন বহন করতে পারবে না। সাধারণত বুদ্ধিজীবীদের মতে, কোন ব্রিজ রাত বারোটার দিকে ‌ভেঙে পড়তে পারে। যদিও তারা উল্লেখ করেননি সেটি রাত বারোটা নাকি দুপুর বারোটা।

তাই বুদ্ধিজীবী দের কথা স্মরণ করে, দুপুর ও রাত বারোটার সময়‌ তিন চার মিনিটের জন্য হাওড়া ব্রিজের ওপর যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যটির কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবু‌ জনসাধারণের স্বার্থে এবং কিছু বিশেষ ভাবনা থেকেই ‌কিছু সময়ের জন্য হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।

আরো পড়ুন  Offbeat Holiday: দীঘা, মন্দারমনি নয়! বাংলার নতুন একটি সমুদ্র সৈকত, একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন। মন ভালো হতে বাধ্য…

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।