Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: ঘুরতে যাওয়ার নেশা রয়েছে সবারই। তবে ঘুরতে গিয়ে অলৌকিক এর অভিজ্ঞতা এ যেন অতিরিক্ত পাওনা। বছরের নানা সময় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করা হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগ প্ল্যান হয় পাহাড়ে না হয় সমুদ্রে। ‌দুই একবার জঙ্গলেও ঘুরে এসেছেন নিশ্চয়ই। ‌তবে শহরের কাছে যে এমন একটা ভৌতিক স্থান (Hunted place near Kolkata) রয়েছে তা এখনও মানুষের অচেনার তালিকায়‌ (Offbeat Places Near Kolkata)। যদি উদ্দেশ্য হয় শুধুই ঘুরতে যাওয়া, তাহলে মঙ্গলগঞ্জ (Mongolgonj Nilkuthi) এড়িয়ে চলুন। কিন্তু আপনি যদি হন অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী, চান নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা, তবে আপনার গন্তব্য হতেই পারে কলকাতা থেকে অনতিদূরে মঙ্গলগঞ্জের গা ছমছমে নীলকুঠি (Hunted Nilkuthi Of Mongolgonj)।

ছোটবেলা থেকেই ভূতের গল্প পড়ে এসেছি। তবে স্বচক্ষে ভূত দেখেছেন ‌হাতে গোনা মানুষ। এখনো আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গা ভৌতিক স্থান বলে গণ্য করা হয়। এই সকল ভুতুড়ে স্থানে নানান সময় ভিড় জমান আগ্রহী জনতা। তবে শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয় সারা পশ্চিমবঙ্গে একাধিক ভৌতিক স্থান রয়েছে। অলৌকিক অভিজ্ঞতার টানে সেখানে ভিড় জমান ভ্রমণ পিপাসুরা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ক্রমশ জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র মঙ্গলগঞ্জের নীলকুঠির কথা।

ভৌতিক অনুভূতির টানে ‘মঙ্গলগঞ্জ’…

লোকোমুখে শোনা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার অন্তর্গত মঙ্গলগঞ্জের নীলকুঠিতে আজও অস্তিত্ব রয়েছে তেনাদের। মাঝেমধ্যেই মেলে তাঁদের অস্তিত্বের প্রমাণ। ভৌতিক অনুভূতি পাওয়ার জন্য তথা ভূতের দর্শন করার জন্য এই নীলকুঠি হয়ে উঠেছে মঙ্গলগঞ্জের প্রধান আকর্ষণ। বনগাঁর বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের পরিচয় আলাদা করে বলার নয়। নিবিড় সেই অভয়ারণ্যের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ইচ্ছামতী নদী। নদীর ওপারে নাটাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই ‘মঙ্গলগঞ্জ’। আর সেই মঙ্গলগঞ্জের মাঝেই রয়েছে পরিত্যক্ত ভৌতিক নীলকুঠি। ‌

আরো পড়ুন  Offbeat Holiday: দীঘা, মন্দারমনি নয়! বাংলার নতুন একটি সমুদ্র সৈকত, একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন। মন ভালো হতে বাধ্য…

নীলকুঠির অন্ধকার ইতিহাস…

জানা যায়, আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে গোবরডাঙার জমিদার লক্ষণচন্দ্র আইচ ব্যবসা করবার জন্য তৈরি করেছিলেন এই নীলকুঠি। যদিও পরবর্তীকালে এই নীলকুঠির দখল নেয় নীলকর সাহেবরা। তারপরেই নীলকুঠিতে নেমে আসে অন্ধকার। নীলকর সাহেবদের অধিকৃত কুঠিতে নির্মম অত্যাচার চালানো হতো নীলচাষী দের উপর। তবে ইতিহাস বদলানোর সাথে সাথে বদলেছে নীলকুঠির মালিকানা। বর্তমানে জমিদার পরিবারের বংশধর হেনা চৌধুরির তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওই নীলকুঠি।

মঙ্গলগঞ্জে ঘোরাফেরা…

ঘন জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত নীলকুঠিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। জঙ্গলের মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে বাঁশের কুটির। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে এই কুটিরগুলি। সেই কুটিরে ব্যাগ রেখে মশাল হাতে গভীর রাতে চলে জঙ্গল ভ্রমণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয় গা ছমছমে ভৌতিক অভিজ্ঞতা। এক দিকে ঝিঁঝিঁর ডাক, অন্যদিকে জোনাকির আলো এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে যেতেই হবে মঙ্গলগঞ্জ।

বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।