সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) একটি জেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল বন দপ্তর (Forest Department)। আর হাতেগোনা কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আসছে চিতাবাঘ ‘জ্যাকি’। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) পর্যটনে (WB Tourism) যুক্ত হবে নতুন পালক। পর্যটকদের জন্য অভিনব পদক্ষেপ বন দপ্তরের (WB Forest Department)। ভৌগলিক কারণ বশত পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ধারে কাছে চিতা বাঘের আস্তানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই। বরং পশ্চিমবঙ্গ বিখ্যাত তার ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের’ (Royal Bengal Tiger) জন্য। তাই রাজ্যের মানুষদের চিতা বাঘ দর্শনের জন্য একমাত্র ভরসা চিড়িয়াখানা। তবে সেখানেও তেনার ইচ্ছের বাইরে দেখা মেলে না মোটেই! ফলে দুধের আসা ঘোলে মেটাতে হয় বহু পশুপ্রেমীকেই।
বাংলায় আসছে চিতাবাঘ ‘জ্যাকি’…
পশ্চিমবঙ্গের শহর পুরুলিয়ার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা সুরুলিয়া মিনি জু-তে পর্যটনের পরিসর বাড়াতে ও আরো বেশি পর্যটক টানতে উত্তরবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে চিতাবাঘ জ্যাকিকে। চিতাবাঘ টিকে নিয়ে আসছে কংসাবতী উত্তর বন বিভাগ। এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রাথমিক কথাবার্তা প্রায় শেষ। আপাতত জোর দেওয়া হচ্ছে পরিকাঠামোতে।অতি দ্রুত যাতে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা যায়, এখন সেটাই লক্ষ্য বনদপ্তরের। আর কিছুদিনের মধ্যেই পুরুলিয়াতে ঘুরতে গেলে বাড়তি আকর্ষণ হবে সুরুলিয়া মিনি জু-এর চিতাবাঘ দর্শন। পায়ে হেঁটে চিতাবাঘ দর্শন করতে পারবেন ভ্রমণার্থীরা।
শিলিগুড়ি থেকে আসছে ‘জ্যাকি’…
সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি সালুগাড়ায় বেঙ্গল সাফারি থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে চিতাবাঘটিকে। সুরুলিয়া মিনি জু- দেখভাল করা কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ চিতাবাঘের আগমনের আগে থেকেই সাবধানী। নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে জ্যাকি যাতে পশ্চিমবঙ্গে পা রাখতে পারে, এখন সেটাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপাতত পরিকাঠামোগত দিকে নজর দিচ্ছে বন বিভাগ। শুধুমাত্র চিতাবাঘ নয় নতুন উদ্যোগে এই চিড়িয়াখানায় আসতে চলেছে বিদেশি রঙবাহারি একাধিক ম্যাকাও শ্রেণীর পাখি। জানা যাচ্ছে, কলকাতার হরিণালয় মিনি জু থেকে ‘স্বপ্নের পাখি’ বা ‘ড্রিম বার্ড’কে নিয়ে আসা হচ্ছে সুরুলিয়া মিনি জুতে।
চিতাবাঘ আসার আগেই সেজে উঠছে চিড়িয়াখানা
চিতাবাঘ জ্যাকিকে নিয়ে আসার আগে তৎপরতা চলছে সুরুলিয়ার চিড়িয়াখানাতে। চিতাবাঘকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল অনেকদিন ধরেই। তাই ‘জ্যাকির জন্য’ অনেকদিন আগেই তৈরি হয়েছিল এনক্লোজার। বুধবার সন্ধ্যায় কংসাবতী উত্তর বনবিভাগের এডিএফও পূরবী মাহাতো সেই এনক্লোজারটি ঘুরে দেখেন। একসময় সেটি ঝোপঝাড়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। চিতাবাঘ আসার আগে সেটি পরিষ্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এনক্লোজার ছাড়াও চিতাবাঘের জলকেলির জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ালো পুল। সেই সঙ্গে রয়েছে রয়েছে জল খাওয়ার ব্যবস্থাও।
এছাড়া রাখা হয়েছে দুটি আচ্ছাদন। চিতাবাঘ যেহেতু মগডালে বসে, তাই জ্যাকির আস্তানার ভিতরে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে গাছের ডালও। সর্বতোভাবে বলা যায়, লেপার্ড আসার আগে পুরোদমে প্রস্তুত হচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি জুতে লেপার্ড দর্শনে দর্শকদের ঝুঁকি কমাতে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা রয়েছে। আপাতত চিতাবাঘকে বঙ্গে আনতে দ্রুত পরিকাঠামো সাজাচ্ছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আর কিছুদিনের মধ্যে পুরুলিয়ায় গেলে দর্শন মিলবে ‘জ্যাকি’ লেপার্ডের।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।