Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: মার্চের শেষ থেকেই চোখ রাঙাচ্ছে রোদ্দুর। পারদের ঊর্ধ্বমুখী গতিতে হাল বহাল আমজনতার। এতটুকু স্বস্তি পেতে পাহাড় মুখী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাপমাত্রার দাপট সামলে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করাও অসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে হাতে রয়েছে দিন কয়েকের ছুটি। নববর্ষের মরশুমে মন চাইছে ঘুরে আসতে। কিন্তু কোথায় গেলে এক বিন্দু শান্তি? উত্তর যেন ভেসে এলো উত্তরবঙ্গ থেকে (North Bengal Tourism)। সামনে নববর্ষের ছুটিতে ঘুরে আসুন চাপড়ামারি (Chapramari Wildlife Sanctuary)। সবুজের সান্নিধ্যে শান্ত হবে মন। জুড়োবে প্রাণ, নববর্ষ হবে অন্য রকম।

শহর থেকে অনতিদূরে চাপড়ামারি…

গরম পড়লেই মন পাহাড়ের গন্তব্যে ছুটে যেতে চায়। অথচ শহর ও শহরতলীর অস্বস্তিকর গরমে ঘর থেকে বেরোতে মোটেই ইচ্ছে করে না। এমন সময় হাতে থাকা ছুটিগুলো অকারণে খরচ করতে বেজায় আফসোস হয় আরকি! তাহলে উপায়? আমাদের বঙ্গভূমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপূর্ব। এই বাংলার কোণায় কোণায় এমন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে যে, সেই দৃশ্য অতি অল্প সময়েই মন ভালো করে দেয়। পাহাড় থেকে সমুদ্র পশ্চিমবঙ্গ সবেতেই অপরূপ। গরমের ছুটি কাটাতে তাই চলে যেতেই পারেন উত্তরবঙ্গে। এখানে পাহাড়, চঞ্চলা নদী, সবুজের সমারোহ দুহাত বাড়িয়ে আপনাকে আপন করে নেবে।

হাতে থাকা নববর্ষের ছুটিকে অবহেলা না করে, একটা চটপট প্ল্যান বানিয়ে ফেলুন সামার ট্যুরের। ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের চাপড়ামারি থেকে। ‌ বন্য প্রাণ, মাথার উপর খোলা আকাশ, হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা রয়েছে এখানে। পশ্চিমবঙ্গের চাপড়ামারি অভয়ারণ্য এমন রোমাঞ্চ উপহার দেবে আপনাকে। একেবারে অন্য রকম একটা নববর্ষ কাটাতে এমন একটা ট্যুর প্ল্যান করা তো যেতেই পারে!

আরো পড়ুন  West Bengal Holiday 2024: পশ্চিমবঙ্গে নতুন ছুটির ঘোষণা করল রাজ্য সরকার! বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ, অফিস

চাপরামাড়ির আকর্ষণ কি?

উত্তরবঙ্গের বক্সা, জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সবার মূল আকর্ষণ। কিন্তু এবার পরিচিত পথ ছেড়ে একটু ভিন্ন পথ ধরা যাক। গরমের চোখ রাঙানি ডিঙিয়ে ভিন্ন রুটের চাপড়ামারি অভয়ারণ্যে এই বছর কাটুক আপনার পয়লা বৈশাখ। জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের সামনে যে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক সেখান থেকে তিন দিকে চলে যাওয়া রাস্তার মধ্যে একটি চাপরামারি ফরেস্টের রাস্তা। অন্য দুটি হল বীরপাড়া আর বানেরহাটের। চাপরামারির‌ ৯.৬ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে শুধুই রয়েছে সবুজের সমারোহ আর পাখিদের কলতান। সবুজ গালিচার দুই দিক‌ ঘেরা পাইন ফারের সারিবদ্ধ সীমানা। আর এরই মাঝে আকর্ষণ বন্যপ্রাণ। উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ সারা ভারত বিখ্যাত। বাইসন, হাতি, নাম না জানা পাখি নিজেদের আবাস করে তুলেছে এখানে। কিভাবে যাবেন চাপড়ামারি?

চাপড়ামারি যেতে হলে রেলপথে যাওয়াই ভালো। হাওড়া, শিয়ালদা, অথবা কলকাতা স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেন ধরে চলে আসুন‌ NJP। চলে আসতে পারেন শিলিগুড়িতেও। এখান থেকে চাপড়ামারি আড়াই ঘন্টার পথ। চাপড়ামারি ফরেস্ট থেকে কিছুটা দূরেই গোরুমারা। চাইলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

চাপড়ামারি গেলে কোথায় থাকবেন?

এখানে থাকার জন্য আলাদা রেস্ট হাউস রয়েছে। সেখানে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। অতএব ঘুরতে এদের থাকার জায়গার কোনো অসুবিধা নেই।

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।