Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্কঃ বছর শীত পড়তেই পর্যটকদের ভিড় জমছে টাকি রাজবাড়ীতে (Taki Rajbari)। ইছামতির পাড়ে ভ্রমণের নতুন ডেস্টিনেশন টাকি রাজবাড়ি। আসলে শীত পড়তেই মনে হয় কাছে পিঠে ঘুরে আসা যাক। কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত এই টাকিতে প্রতিবছর প্রচুর মানুষ ঘুরতে আসেন। আর টাকির অন্যতম দর্শনীয় স্থান টাকি রাজবাড়ী। বর্তমানে এই হেরিটেজ বাড়িটি সকল দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হল।

Taki Rajbari In West Bengal

ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির জন্য এই বছর থেকেই ভালো খবর। সকলের জন্য খুলে গেল ইছামতির তীরে টাকিতে অবস্থিত রাজবাড়ির দরজা। এই
শীতে ভ্রমণপিপাসু বাঙালির পর্যটনের জন্য নতুন ঠিকানা হল টাকির রাজবাড়ি। উত্তর ২৪ পরগনার প্রাচীন রাজ পরিবারের এই হেরিটেজ বাড়ি এবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

যা শোনা যাচ্ছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাসের দিন থেকে থেকে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজবাড়িতে আয়োজন করা হচ্ছে পর্যটন উৎসব। আর এখানেই পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকছে বিনোদনের নানান উপাদান ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধনে সাজানো।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা এই টাকি রাজবাড়ি। এই স্থান বাংলার পর্যটন মানচিত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ‌কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার এই বাড়িটিকে হেরিটেজ স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতি বছর শীত মরশুমে টাকি রাজবাড়িতে পর্যটকদের ভিড় জমতে থাকে। তাই এবার পর্যটকদের স্বার্থে অভিনব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলো।

পেয়ে হেঁটে জঙ্গল ঘুরতে চান? চলে আসুন এই তিন ‘ফুট সাফারি’তে! রইল খোঁজখবর

টাকি রাজবাড়িতে এবার বাড়তি আকর্ষণ!

সূত্রের খবর, পর্যটন শিল্পের মান বাড়াতে চলতি বছর রাজ পরিবারের উত্তরসূরিরা বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যাতে পর্যটকদের কাছে ঐতিহ্যমন্ডিত বাড়িটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তার জন্য গোটা বাড়িটিকে সাজানো হয়েছে গ্রামবাংলার শৈল্পিক উপাদান দিয়ে। যে যে জিনিস দিয়ে বাড়ি সাজানো হয়েছে তার মধ্যে আছে বাঁশের ঝুড়ি, ধামা, কুলোর মতো নানান ঘরোয়া জিনিস।

আরো পড়ুন  Travel Destination: দিপুদা নয়! বাঙালিরা কোথায় ঘুরতে যেতে সব থেকে পছন্দ করেন জানেন? এই তথ্য জানেন না ৯০% মানুষ

তবে শুধুই সুন্দর করে সাজানো নয় রাজবাড়িতে অল্প খরচে পর্যটকদের জন্য রকমারি খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আর সেই খাবারের‌ লিস্টে ের যেমন রয়েছে রেস্টুরেন্টের নানা পদ তেমনভাবেই রাখা হয়েছে গ্রামবাংলার পিঠেপুলির সম্ভারও। টাকি রাজবাড়িতে আসা দর্শনার্থীরা রাজবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতি নদীতে নৌকো বিহারও করতে পারবেন। 

শীত পড়তেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে পরিযায়ী পাখিরা। বাংলার এই ঝিল এখন ট্যুরিস্টদের প্রধান আকর্ষণ

টাকি রাজবাড়িতে কিভাবে যাবেন?

এমনিতেই টাকি রাজবাড়ি এই অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থান। আর এবার এর সঙ্গে জুড়ে গেল পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও। এখানে পৌঁছাতে হলে কিভাবে যাবেন? শিয়ালদা থেকে ট্রেনে চড়ে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যায় টাকি। শিয়ালদা থেখে মাত্র ৭২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত টাকি রেল স্টেশনে নেমে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ পেরিয়ে কিছুটা দূরত্বে অবস্থিত মুঘল যুগের এই রাজবাড়ি। তবে রেলপথ ছাড়া সড়ক পথেও এই অঞ্চলে পৌঁছাতে পারবেন।

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।