পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur Travel) জেলার এই ঝিল সম্পর্কে এক সময় অনেকেই জানতেন না। তবে বর্তমানে এই ঝিলে টুরিস্টদের ভিড় জমছে। তার কারণ ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিদের আগমন।পশ্চিমবঙ্গের সাঁতরাগাছি ঝিল কিংবা বর্ধমানের পূর্বস্থলীর কথা সবাই জানেন। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ঝিল এখনো পর্যন্ত অপরিচিত। তবে আপনি কিন্তু এইবার শীতে এই ঝিল থেকে ঘুরে আসতেই পারেন। তাহলে আর দেরি কেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত।
পেয়ে হেঁটে জঙ্গল ঘুরতে চান? চলে আসুন এই তিন ‘ফুট সাফারি’তে! রইল খোঁজখবর
West Medinipur Travel Destination
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণ আবার পূর্ব থেকে পশ্চিম বৈচিত্র্যের শেষ নেই। সর্বত্র রয়েছে টুরিস্ট স্পট। আর শীত পড়তেই সকলের মন আনচান করে ওঠে। ইচ্ছে করে ঘর ছাড়িয়ে বেরিয়ে পড়ি বাইরে। ঘুরতে যাওয়া কিংবা বাড়িতে অথবা বাইরে পিকনিক করা চলতেই থাকে। আর এটাই তো শীত -এর মজা। এবার আপনিও যদি ঘুরতে যাবেন বলে ঠিক করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল একটি নতুন টুরিস্ট স্পটের সন্ধান। পশ্চিমবাংলার ওয়েস্ট পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই ঝিল দারুন জনপ্রিয় হচ্ছে পরিযায়ী পাখিদের জন্য। আপনার বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমন সুন্দর একটা টুরিস্ট স্পট আগে জানতেন কি?
পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘পরিযায়ী’ ঝিল!
বাংলার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বেশ বিখ্যাত একাধিক দর্শনীয় ইতিহাস ক্ষেত্রের জন্য। তবে এখন ঐতিহাসিক ক্ষেত্র নয় বরং পরিযায়ী পাখিদের ঝিল সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। শুধুমাত্র এই শীতকালে ঘাটাল মহকুমার একাধিক জায়গা কার্যত হয়ে ওঠে অস্থায়ী ট্যুর ডেস্টিনেশন। সারা বছর ধরে এই গ্রামগুলি চর্চায় না থাকলেও কিন্তু শীতকালে বেশ চর্চায় উঠে আসে।
কলকাতার কাছেই ভুতুড়ে নীলকুঠি! কান পাতলেই শোনা যায় অশরীরির ডাক! একদিনের ভ্রমণে জনপ্রিয় বঙ্গের ‘মঙ্গলগঞ্জ’
এই গ্রামীণ বেশ কয়েকটি ঝিল, জলাশয় ভরে যায় পরিযায়ী পাখি দের আগমনে। মাস দুই থাকার পর এই পাখিরা আবার নিজ গন্তব্যে চলে যায়। স্বাভাবিকভাবেই অফবিট ডেস্টিনেশন এই জায়গা। ওই জেলার ঘাটাল মহকুমার খড়ার-সহ একাধিক গ্রাম গুলির জলাশয়ে শীতকাল পড়তেই আগমন হয় পরিযায়ী পাখির। যাদের দেখতে ঠিক অনেকটা হাঁসের মত। তবে হাঁসের থেকে এরা অনেকটাই ভিন্ন, আকারে বেশ ছোট।
এই বিষয়ে পক্ষী বিশেষজ্ঞরা বলেন এই পাখি আসলে বালি হাঁস। সাধারণত এই হাঁস জাতীয় পাখিরা উড়তে পারে। এক জলাশয় থেকে অন্য জলাশয়ে তাঁরা উড়ে উড়ে পৌঁছয়। মূলত ডিসেম্বরে তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে উড়ে আসে তাঁদের পছন্দের জায়গায়। আর এসে জনন এবং বংশবিস্তারের পর শীতের শেষে তাঁরা চলে যায়। স্বাভাবিকভাবে এই ক’টা মাস এই পাখিতে ভরে থাকে ঝিল। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন আকৃতির এই বালি হাঁসদের দেখতে পাওয়া যায় ঘাটাল মহকুমা অন্তর্গত একাধিক জলাশয়ে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।