Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনগণ সবচেয়ে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এবং ফেসবুককেই (Facebook)-কেই রাখে। এই দুই সোশ্যাল মিডিয়া জনসাধারণের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে। বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহার করতে ‌সবথেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করেন সাধারণ মানুষ। বলাই বাহুল্য এই অ্যাপটির সঙ্গে অভ্যস্থ গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা গেল এমন এক খবর ‌হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) ব্যবহারকারীদের মধ্যে অসংখ্য সৃষ্টি করছে। ভারতবর্ষে বন্ধ হয়ে যেতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ? (WhatsApp) সম্প্রতি এমন একটি ইঙ্গিত মিলল অ্যাপ্লিকেশন এর মালিকানার তরফে।

আট থেকে আশি সমাজের সকল বয়সের জনগণ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারদর্শী। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত এই অ্যাপ্লিকেশন তাঁদের দৈনন্দিন সঙ্গী। শুধুমাত্র চ্যাটিং নয়, নানান কাজে ব্যবহৃত হয় এই অ্যাপটি। স্কুলের পড়াশোনা থেকে অফিসের আলোচনা ভরসাযোগ্য মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ সকল-এর কাছেই কদর পায়। কিন্তু হঠাৎ করে এই অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে দেওয়ার কথা কানে আসতে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত আমজনতা। ইউজারদের প্রশ্ন, কেন হঠাৎ করে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

সূত্রের খবর, সম্প্রতি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইন কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ‌ভারতের সর্বাধিক ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ‌ (মেটা)। ইনফরমেশন টেকনোলজি (ইন্টারমিডিয়ারি গাইডলাইন্স অ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোড)-এর ৪(২) আইন-এর বিপক্ষে গিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে মেটা সংস্থা।‌ আইনের ধারায় উল্লেখ রয়েছে, যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া মেসেজিং পরিষেবা দেয়, তাদের প্রথম যিনি মেসেজ করেছেন, তাকে চিহ্নিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ‌

আরো পড়ুন  WhatsApp Fraud: হোয়াটসঅ্যাপে নতুন প্রতারণার ছক! এই নাম্বার থেকে ফোন আসলে খবরদার ধরবেন না…

আদালতে দায়ের হওয়ার মামলায় চঞ্চল্যকর বক্তব্য তুলে ধরেছে মেটা। ম্যাসেজিং সংস্থার তরফে সাফ জানানো হয়েছে যে, যদি তাঁদের মেসেজের এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয়, তবে তারা আর ভারতে থাকবে না। বরং ভারত থেকে ব্যবসার গুটিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেবে।

এদিন দিল্লি হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলাটি উঠেছিল। মামলায় হোয়াটসঅ্যাপ তরফে হাজির থাকা আইনজীবী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, সাধারণ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপের মত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন তাদের গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি নীতির কারণে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ এন্ড টু এন্ড ইন্সক্রিপশন অন থাকে। সেক্ষেত্রে যদি ‌ হঠাৎ করে হোয়াটসঅ্যাপকে এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয়, সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমটি ভারতে থাকবে না বলে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে সংস্থার তরফে।‌

এর পাশাপাশি হোয়াটস্যাপ সংস্থার আইনজীবীর তরফে ‌বলা হয়েছে, ভারতবর্ষের আইন এই সংস্থাকে বছরের পর বছর ধরে ‌ক্রমাগত হতে থাকা কোটি কোটি মেসেজ সংরক্ষণের কথা বলেছে। যা বিশ্বের কোথাও নিয়ম নেই। অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে এ প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে বলা হয়, ভারতের আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হল মেসেজের প্রধান প্রেরককে খুঁজে বের করা। সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে অনেক কিছুই করতে পারে। ‌তাই হোয়াটসঅ্যাপের কাছেও বিষয়টি এমন কিছু জটিল হওয়া উচিত নয়।

বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।

আরো পড়ুন  WhatsApp New Feature 2024: হোয়াটসঅ্যাপে হাজির নতুন ফিচার! জানলে অবাক হবেন আপনিও...

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।