সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: জি বাংলা (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)! বেশ কয়েকদিন ধরে রীতিমতো জমে উঠেছে এই মেগা ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প অবলম্বনে।
যে পরিবারের বড় মেয়ে কর্তব্যপরায়ণ রাইপূর্ণা ওরফে রাই, মেজ মেয়ে নীলাঞ্জনা ওরফে নীলু, এবং ছোট মেয়ে স্রোতস্বিনী ওরফে স্রোত। প্রথম থেকে গল্পে সেরকম ধামাকাদার কিছু না হওয়ায় একটু হতাশ ছিলেন দর্শক। তবে লীনা গাঙ্গুলীর যুক্তি ছিল, খুব শীঘ্রই ধারাবাহিকে আসছে বিরাট মোড় বদল। মেগার গল্প অনুসারে বিয়ে ঠিক হয় বাড়ির বড় মেয়ে রাইয়ের। আর সেই বিয়েকে কেন্দ্র করেই ঘুরে যায় গল্প।রাইপূর্ণার বিয়ের দিন মারা যান তাঁর বাবা। তিনি ছিলেন পরিবারের মাথা ও একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ঘটনাটি নজরে পড়ে কনের সাজে থাকা রাইয়ের। বাবাকে আঁকড়ে এসে কথা দেয়, এই পরিবারের ভার সে নিজের কাঁধে তুলে নেবে। পরিবারের মাথায় সে ছাতা হয়ে দাঁড়াবে। বোনের বিয়ে দেবে সঙ্গে সঙ্গে সামলাবে গোটা পরিবারকে। এ কথা ভেবেই একটা বিরাট স্বার্থত্যাগ করে ফেলে রাই। নিজে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও ভালোবাসার মানুষ সৌর্য্যের হাতে তুলে দেয় নিজের ছোট বোন নীলুকে। বিয়ের পিঁড়ি থেকে সরে গিয়ে বোনের হাতে তুলে দেয় নিজের কলিজা। যদিও এই বিয়েটি মন থেকে মানতে পারেনা কেউই।
বরং রাইয়ের হঠাৎ সিদ্ধান্তের ফলে নীলাঞ্জনা জীবনটা শেষ হয়ে গেছে বলে সবাই আঙ্গুল তলে বাড়ির বড় মেয়ের দিকেই। ভাগ্যের পরিহাসে বাবার চাকরিটা না পেয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় রাইয়ের। তার মধ্যে চলে কাছের মানুষদের অপমান ও অত্যাচার। এমন কেউ থাকে না যে রাইয়ের পাশে এসে দাঁড়াবে। সে যা করছে তাই ভুল। রাইয়ের বৌদি ও ছোট বোন স্রোত কিছুটা হলেও রাইকে বুঝলেও বাকি সবার কাছে চোখের বিষ হয়ে ওঠে দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া মেয়েটি। টাকা জোগাড় করতে শেষমেষ বোনের শ্বশুরবাড়ি তার শ্বশুরের সেবা করতে যেতে হয় রাইপূর্ণাকে। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। বোনের কাছ থেকে দিনের পর দিন অপমানিত হতে থাকে রাই। তাঁকে বাড়ির কাজের লোক বানিয়ে রাখে নীলাঞ্জনা।
সেই বোনের মুখ চেয়েই ফের একটা মিথ্যের আশ্রয় নেয় রাই। সবার সামনে বলে, অন্য একজন পুরুষকে ভালোবাসে সে। তাই এই বিয়েটা করেনি। এরপর আরো কলঙ্কের বোঝা চাপে রাইয়ের ঘাড়ে। কিন্তু একটা মানুষের ধৈর্য করার সীমা থাকে। সেই সময় অতিক্রম করে গেলে আর মুখ বন্ধ করে রাখা উচিত নয়। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে রাইয়েরও। নীলাঞ্জনা কি মুখের উপর সপাট জবাব দেয় রাই। বাড়িতে ফিরেও এক বিন্দু শান্তি দেয় না তাঁকে কেউ। এরপর রাইপূর্ণা না সবার সামনে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলে, একদিন ভাগ্যের চাকাটা ঘুরবে।
তখন এবাড়ির সবাই রাইয়ের মুখ চেয়েই বেঁচে থাকবে। সবার কাছে গর্বের পাত্রী হয়ে উঠবে সে। আর সেই দিন আসতে বেশি দিন বাকি নেই। খুব শীঘ্রই সমস্ত অপমানের জবাব দেবে মিঠিঝোরার রাইপূর্ণা। ধারাবাহিকের বিগত পর্বে দেখা যায়, রাই বাড়ি ফিরে এলে পরিবারের সবাই রোষের মুখে পড়ে। এমনকি চরিত্রহীন তকমাও যদি তার কপালে। এতদিন পর্যন্ত রাই চুপ করে দুঃখ সহ্য করায় বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন দর্শক মহল। তবে এবার রাইয়ের রনংদেহি মেজাজ বেশ মনে ধরেছে সবার। রাইয়ের প্রতিবাদ করার আগেই উচিত ছিল, মানছেন সকলেই।
অন্যদিকে দেখা যায়, স্রোত কলেজে তার প্রফেসরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এমন কি তাকে কলেজ থেকে বার করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন প্রফেসর। বোঝা যাচ্ছে ইনিই স্রোতের নায়ক। ছাত্রী ও প্রফেসরের সম্পর্ক বর্তমানে অম্ল মধুর। কিন্তু কবে যে একে অপরের প্রতি মন গলবে তার জন্যই আরেক দফা অপেক্ষা চলবে দর্শক মহলের।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।