সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ২ রা মে প্রকাশিত হল প্রতীক্ষিত মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট (Madhyamik Result 2024)। ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা শেষের পর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছিল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। অবশেষে এদিন সকালে প্রতিবছরের রীতি মেনে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হলো
মাধ্যমিকের ফল (Madhyamik Result 2024)। মেধাতালিকায় রয়েছেন ৫৭ জন ছাত্রছাত্রী। এদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছেন কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন। ছেলের পরীক্ষার রেজাল্ট জেনে অত্যন্ত খুশিই তার মা-বাবা। সংবাদমাধ্যমের সামনে চন্দ্রচূড়ের বাবা জানালেন, ‘ছেলে কখনো কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়নি।’
মাধ্যমিকের শীর্ষস্থানে চন্দ্রচূড়…
মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বমোট ৭০০ নম্বরের মধ্যে চলতি বছরের মাধ্যমিক টপার পেয়েছেন ৬৯৩ নম্বর। সংবাদ মাধ্যমের তরফে চন্দ্রচূড়ের কাছে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, কোন বাঁধাধরা নিয়মে পড়াশোনা করেননি শীর্ষস্থানাধীকারী। বরং আবৃত্তি, গল্পের বই, তাৎক্ষণিক বক্তৃতার সঙ্গেই চলত পড়াশোনা। মাধ্যমিকে প্রথম হতে গেলে কত ঘন্টা পড়তে হয়? তাঁর সঠিক উত্তর নেই চন্দ্রচূড়ের কাছে। কারণ কোনদিনই ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করেননি তিনি। যখন মনে হত তখনই পড়াশোনা করতেন। আজ ছেলের দুর্দান্ত ফলাফল শুনে চোখে আনন্দাশ্রু তার মা-বাবার।
ছেলের সাফল্যে আপ্লুত চন্দ্রচূড়ের বাবা সুশান্ত সেন বলেন, ছোট থেকেই তিনি এই দিনটার আশায় ছিলেন। ছেলে কখনও দ্বিতীয় হয়নি, সে সব ক্লাসেই প্রথম হয়ে এসেছে। ফলে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় এক থেকে দশের মধ্যে চন্দ্রচূড়ের নাম থাকবে, সেই আশা তাঁদের ছিল। তবে, ছেলে যে প্রথম হবে প্রথম হবে সেটা কখনও ভাবেননি তিনি। এদিন চন্দ্রচূড়ের বাবা বলেন, ছেলে যে পথে এগোতে চায়, যা নিয়ে পড়তে চায় তা নিয়ে পড়ুক। সন্তানের যাতে স্বপ্নপূরণ হয় তিনি সেটাই চান।
পাশাপাশি, মাধ্যমিকের শীর্ষ স্থানাধিকারী পড়ুয়ার মা বলেন, চন্দ্রচূড়কে পড়ার কথা কখনও বলতে হত না। ওকে কোনও বাঁধাধরা নিয়ম করে পড়তে দেখেননি। একই সঙ্গে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের কৃতিত্ব স্বীকার করেন। তিনি বলেন, স্কুলের মাস্টারমশাইরা চন্দ্রচূড়কে যথাযথ ভাবে সাহায্য করেছে। ছেলের পরীক্ষা প্রস্তুতিতে পাশে ছিলেন তিনিও। চন্দ্রচূড়ের মায়ের কথায়, ছেলে কখনও বলত মুখে মুখে ইতিহাসের ছোট প্রশ্ন ধরতে। তিনি পরীক্ষার আগে ছেলেকে মৌখিক প্রশ্ন ধরতেন।
বড় হয়ে কি হতে চায় মাধ্যমিক টপার?
সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন চব্বিশের টপার জানান, ভবিষ্যতে নিট ইউজি (Neet UG) উত্তীর্ণ হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। এদিন চন্দ্রচূড়ের কথায়, তিনি বড় হয়ে চিকিৎসা হতে চান। একই স্বপ্ন দ্যাখেন তার মা-বাবাও। নিজের ও মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে এবার মেডিকেলের প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করবেন তিনি।
চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফলাফল কি রকম?
২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৩৬ পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন। গত বছরের তুলনায় এবছরে পাশের হার বেড়েছে। মাধ্যমিকে মোট পাশের হার ৮৩.৩১ শতাংশ।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।