সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: দিনের পর দিন ধরে দহন জ্বালা সহ্য করছে দক্ষিণবঙ্গ (Tempareture Rising In Bengal)। উত্তরে যেখানে বৃষ্টি নামছে দক্ষিণবঙ্গে কার্যত পুড়ছে চারিপাশ। এরকম আবহাওয়া (Hot tempareture) গত কয়েক বছরে বিরল। কেন বাড়ছে এভাবে তাপমাত্রা (Tempareture Rising)? প্রশ্ন তুলেছিলেন সবাই। একপশলা বৃষ্টির জন্য হাঁ করে আছে বঙ্গবাসী। তাপপ্রবাহের জ্বালা থেকে মুক্তি দিয়ে বাংলায় এবার ধেয়ে আসছে টর্নেডো। জারি হল সতর্ক বার্তা। (Tornedo Warning in Bengal)।
বঙ্গের উচ্চ তাপমাত্রা…
গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। অত্যাধিক তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস দশা বঙ্গবাসীর। একদিকে যেমন তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব অন্যদিকে তেমনি বৃষ্টিহীনতা, দুই কারণেই দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বেলা গড়াতেই চারিদিক শুনশান হয়ে যাচ্ছে। মরুভূমির মতো পরিস্থিতি যেন বাংলায়। এদিকে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখি হয়ে রয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। বৃষ্টির প্রয়োজন কৃষিজ উৎপাদনের জন্যও।
বঙ্গের আবহাওয়া পরিবর্তন…
গত শুক্রবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা কিছুটা বদলেছে। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প পূর্ণ বায়ু দক্ষিণবঙ্গের বাতাসে প্রবেশ করায় বঙ্গের তাপমাত্রায় হেরফের হয়েছে। শনিবার ও রবিবার হওয়ার দাপট লক্ষ্য করা গেছে। কমেছে তাপমাত্রা। এমনকি তাপপ্রবাহের ঝটকাও কিছুটা কম। সব মিলিয়ে কিছুটা হলেও আরামদায়ক হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের উষ্ণতা। বঙ্গের আবহাওয়া পরিবর্তন প্রভাব ফেলেছে আমজনতার জীবনে। তারা চাইছেন শুধু আশা দেখানো নয়, এবার অন্তত একপশলা বৃষ্টিতে ভিজুক দক্ষিণবঙ্গ।
আমজনতার বক্তব্য, তাপমাত্রা একটু কমেছে ঠিক তবে অস্বস্তিকর আবহাওয়া রয়েই গেছে। গুমোট হয়ে রয়েছে চারিপাশ। এদিন কলকাতার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। দিনভর আকাশ মেঘলা, বিকেলের দিকে বৃষ্টি না হলেও বজ্রবিদ্যুতের দেখা মিলতে পারে। বাতাসে এদিন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯০ ডিগ্রির কাছাকাছি। এদিন মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করেছিল আবহাওয়া দপ্তর। বৈশাখ প্রায় শেষ হতে চললেও কালবৈশাখী দেখা দেয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে কালবৈশাখী হতে পারে বলে হাওয়া অফিসের অনুমান ছিল।
বাংলায় টর্নেডোর সতর্কবার্তা
তবে এখন শোনা যাচ্ছে বাংলায় ধেয়ে আসছে টর্নেডো। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে
নিষেধ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে বলে খবর। মাঝারি বৃষ্টি হতে দেখা যাবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মু্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায়। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরেও ৩০ থেকে ৪০ কিমি গতিবেগে বাতাস বইতে পারে বলে খবর। আগামী ৯ মে পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সর্তকতা জারি থাকবে। ৮ মে পর্যন্ত উপকূলবর্তী অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। ১১ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি কিছুটা কমবে। ততদিন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি চলবে।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।