সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: বাঙালির ঘুরতে যাওয়া মানেই পরিচিত জায়গায় বারবার ভ্রমণ। তবে এবার গতানুগতিক ছাড়ুন। পরিচিত জায়গা ছেড়ে হেঁটে আসুন নিরিবিলি সাগরতট থেকে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) একাধিক নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত রয়েছে। নামে পরিচিত হলেও সারা বছর ভিড় লেগে থাকে না। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বেশ ফাঁকা (Offbeat Tourism) এই সাগরতটে একাই খুঁজে নিতে পারেন শান্তি। এখানে নিরিবিলি সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে অফুরন্ত বালুকা মেলায়। সন্ধ্যায় আধো অন্ধকারে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এই সৈকত। নববর্ষের দিন দুয়েকের ছুটিতে ঘুরে আসা তাজপুর (Tajpur) থেকে।
কাছে পিঠে ‘তাজপুর’…
সারা বছর দীঘায় মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। আপনি যদি ভিড় এড়াতে চান, তাহলে আপনার গন্তব্য হতে পারে দীঘা থেকে কিছু দূরে তাজপুর। নামে এই সমুদ্র সৈকত পরিচিত হলেও শীতকাল ছাড়া সব সময় মানুষের ভিড় থাকে না। তাজপুরে রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সাগর যেন তার রাজত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে। দিনের বেলায় স্নান সেরে সাগর কিনারে হোটেলে থেকেই উপভোগ করতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় আবারো হাঁটতে আসতে পারেন এই সাগর তটে। দূষণমুক্ত ঠান্ডা সাগরের হাওয়া মন প্রাণ জুড়িয়ে দেবে আপনার।
সমুদ্র প্রেমীদের আদর্শ ‘তাজপুর’…
সমুদ্র প্রেমীদের জন্য তাজপুর আদর্শ জায়গা। এই সুন্দর পর্যটন স্থলে অফুরন্ত সমুদ্র চারিদিক থেকে ঘিরে থাকবে। মৃদুমন্দ ঢেউ আছড়ে পড়ে বন্ধুত্ব পাতাতে চাইবে আপনার সঙ্গে। ভোরের সূর্যোদয় আর সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত রং ছড়িয়ে দেয় সাগরের বুকে। অপূর্ব এই প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করে মনে মনে খুশি হতে পারবেন আপনিও। দীঘা মন্দারমনি না গিয়ে তাজপুর হতে পারে আপনার এই বছরের নববর্ষের আলটিমেট ডেস্টিনেশন।
একান্তে ঝাউবনের কাব্য…
সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই ঝাউবন খোঁজেন। দীঘাতে এখন ঝাউবন প্রায় হারিয়ে গেছে। তবে আপনি যদি ঝাউবনের খোঁজে থেকে থাকেন তাহলে তাজপুরও হতে পারে আপনার পছন্দের জায়গা। এখানে এখনো রয়ে গিয়েছে অনেক ঝাউবন। যারা সাগরের হাওয়ায় মাথা দোলায়। সন্ধ্যা হতেই একান্তে কাব্য লেখে। মন ভালো করা উপহার রয়েছে তাজপুরে সাজানো। সন্ধ্যায় আপনি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েই সাগরের শোভা উপভোগ করতে পারেন। দূর থেকে হাতছানি দেবে ঝাউবন।
কিভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে বেশি দূরে নয় তাজপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাজপুর। আপনি চাইলে রেলপথে দীঘাগামী লোকাল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেনে রামনগর স্টেশন হয়ে সেখান থেকে গাড়ি অথবা অটো রিকশায় তাজপুর পৌঁছাতে পারেন। আবার চাইলে সড়ক পথেও সরাসরি পৌঁছে যেতে পারেন তাজপুর। মেচেদা থেকে দীঘাগামী বাসে চড়ে বালিসাই নেমে সেখান থেকে অটো, ভ্যান, ইত্যাদিতে পৌঁছে যেতে পারেন তাজপুর। এছাড়াও, সরাসরি গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে তাজপুর পৌঁছে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন?
তাজপুরে পর্যটকের আনাগোনা লেগে থাকে বলে বেশ কিছু হোটেল, রিসর্ট গড়ে উঠেছে। সেখানে আগে বুকিং করে অনায়াসেই সাগরের ধারে থাকতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হোটেলেই রয়েছে। তাছাড়া বাইরে অনেক খাবারের দোকান রয়েছে। থাকা খাওয়ার অসুবিধা হবে না। তবে হ্যাঁ, যাওয়ার আগে বুকিং করে যাওয়াই ভালো।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।