Follow Satkahan Plus at Google News
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন


সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত জমজমাট ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। লীনা গাঙ্গুলীর গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ধারাবাহিক তিন কন্যার গল্প তুলে ধরে। মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় বোন রাই তার বিয়ের পাত্রকে তুলে দেয় বোন নীলুর হাতে। বলাই বাহুল্য বিয়ের পিড়িতে কনে অদলবদল হয়। আর সেই বিয়ের পর থেকেই একের পর এক গোলমাল। শ্বশুরবাড়িতে নিলুকে মেনে নিতে পারে না কেউই। ফলে দিদিভাই রাই এর ওপরে তার রাগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্বামী সৌর্য্যের ভালোবাসা অর্জন করে নিতে হবে নীলুকে। সংসারে সবার মন জুগিয়ে চলতে হবে তাঁকে।‌ এমন একটি নিয়ম আসে নীলুর জন্য। ‌ ফলে নিত্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাঁকে।

এদিকে বড় বোন রাইপূর্ণাকে মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনা সৌর্য্য। আর সেই যন্ত্রণার ভাগীদার হতে হয় তাঁর স্ত্রী নীলাঞ্জনাকে।‌ মনে মনে নিল ভাবতে থাকে দিদিভাই তার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আর সেই কারণেই ক্রমে রাই এর শত্রু হয়ে ওঠে নীলু। এদিকে রাইপূর্ণাকে জীবনেও দুর্বিষহ। একটা চাকরি পাওয়ার জন্য মাথা খুটে মরতে হচ্ছে তাঁকে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া রাইকে সারাক্ষণ শুনতে হয় দাদা আর মায়ের গুঞ্জন। ‌ পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে না সে! তার সঙ্গে রয়েছে বোন নীলাঞ্জনার নিত্য অপমান। তবে বদ্ধপরিকর রাই মন থেকে ঠিক করে আত্মসম্মান বাঁচিয়ে তবেই সে কোন কাজ করবে।

আরো পড়ুন  Sean Banerjee: 'রোশনাই' শুরু হতেই অনুষ্কার সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন শন! "কেমন মানুষ আপনি…" রেগে গেলেন অনুষ্কা!

নীলাঞ্জনার শ্বশুরের সেবা করতে নীলুর শ্বশুরবাড়ি যেতে হয়েছিল রাইকে। কিন্তু সেখানে নিত্য অপমান জুটেছিল তাঁর বোনের কাছ থেকেই। এটাই কি প্রাপ্য ছিল রাইয়ের? অবশেষে মাথা উঁচু করে কাজ ছেড়ে চলে আসে রাই। সৌর্য্যের বাবার সেবার জন্য যে টাকা পেয়েছিল তা ফিরিয়ে দেবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে সে। এখন তার লক্ষ্য একটা চাকরি পাওয়া। আর তাহলেই ভাগ্যের জায়গাটা ঘুরে যাবে। দিনে রাতে পরিশ্রম করে ইন্টারভিউ লাইনে দাঁড়ায় রাই। কিন্তু ইংরেজি না জানার কারণে এখানেও অপমানিত হতে হয়। এরপর কি করবে সে? জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে কিভাবে?

তবে এরই মধ্যে এসে গিয়েছে ভালোবাসার দোল। সম্প্রতি একটি প্রোমো রিলিজ করেছে জি বাংলা। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে নীলাঞ্জনা শাশুড়ি এবং শশুরবাড়ির সবাই গানের স্কুলে উপস্থিত হয়েছে। নীলাঞ্জনার শাশুড়ি বলে, গানের সুরে এ বছর অনেক বড় করে দোল পালন করা হচ্ছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে রাই ও তার পরিবার। এরপরই দেখা যায় নীলাঞ্জনা রায়ের গালে আবির মাখিয়ে বলে, “দিদিভাই ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি এবার তোকে রং দেওয়ার একটা লোক জুটুক।” পাল্টা উত্তর দেয় রাইও।

নিজের বোনের গালে আবির মাখিয়ে রাই বলে, “চিন্তা করিস না নীলু ভগবান কাউকেই দীর্ঘদিন বেরঙিন রাখে না রে।” আর সে কথা বলা‌ শেষ হতে না হতেই লাল আবির হাতে রাই ধাক্কা খায় তারই অফিসের খিটখিটে বসের সঙ্গে! লাল আবিরে রাঙা হয়ে ওঠে রাইপূর্ণা। সঙ্গে সঙ্গে রেগে ওঠে বস। তবে এটাই কি ইঙ্গিত রাইয়ের জীবনের রং ফেরত আসার? তাহলে কি হাজির হয়েছে রাই এর হিরো? ভালোবাসার রং ছুঁয়ে তাহলে কি ফের একবার রঙিন হয়ে উঠবে ‘মিঠিঝোরার’ নায়িকা?

আরো পড়ুন  Kanchan-Sreemoyee: "মোহে রং দো লাল…" বিয়ের পর প্রথম দোলে 'রঙিন' লাভবার্ডস কাঞ্চন-শ্রীময়ী!

বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।