সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) তাপমাত্রায় মরুভূমির ছোঁয়া! ক্রমাগত বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ (Tempareture Rising)। যে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে যে কোনো মরুভূমির উষ্ণতাকে। অত্যাধিক গরম বৃদ্ধি (Extreme Tempareture) চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যবাসীর (West Bengal Summer)। দুপুর গড়ালে রাস্তাঘাট মরুভূমির মতো শুনশান। যেন কার্ফু জারি হয়েছে শহর কলকাতায়। বহু বছর আগে সত্যজিৎ রায় লিখে গিয়েছিলেন, জটায়ুর ‘সাহারায় শিহরণ’ উপন্যাসের তথ্য। সেই সাহারায় শিহরণ যেন বঙ্গভূমিতে নেমে এসেছে বৈশাখে। মরুভূমি-সম তাপমাত্রায় ধুঁকছে বাংলা। এরই মাঝে চঞ্চলকর তথ্য দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
পশ্চিমবঙ্গের ‘সাহারা’ জীবন
জটায়ুর ‘সাহারায় শিহরণ’ গল্পে খেল দেখিয়েছিল প্রখর রুদ্র, আর বঙ্গের গল্পে খেল দেখাচ্ছে প্রখর রুদ্র! সকাল দশটার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। স্কুল কলেজ বন্ধ, অফিসে যাওয়ার পথে তুমূল সতর্কতা অবলম্বন করছেন জনতা। অধিকাংশ জায়গাতেই তাপমাত্রা পেরিয়ে গেছে চল্লিশের কোটা। শুধু কি তাই! কিছু কিছু জায়গায় ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাপপ্রবাহ কমার আশা নেই। বৃষ্টির চাহিদায় চাতক পাখি হয়ে উঠেছে মানুষ। তবে বৃষ্টি এলেও এখনই গরম কমছে না বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখী গতি আরো বাড়তে থাকবে। গরম হলকার পাশাপাশি শুষ্ক আবহাওয়া ক্ষণে ক্ষণে স্মরণ করাচ্ছে মরুভূমিকে।
আফ্রিকায় অবস্থিত সাহারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহু মাইল দূরে। তবে ভারতের থর মরুভূমি গরমকালে ৪২-৪৫ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। যে ধরনের তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে বঙ্গভূমিতে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো থর মরুভূমি রাজ্য রাজস্থানে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ার খবর মিলছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছে চরমতম শুষ্ক। এই অত্যধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় তুলে ধরেছে আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিসের তথ্য, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সুদূর আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি।
বাংলার তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেপথ্যে দায়ী সাহারা!
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদদের তরফে জানানো হচ্ছে, বঙ্গের তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি করছে শুষ্ক পশ্চিমা বায়ু। সেই বাতাস নাকি আসছে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি থেকে। রাজ্যে উর্ধ্বমুখী পারদের কারণ হিসেবে তাই সাহারাকে নেপথ্যে দায়ী করছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে শুষ্ক পশ্চিমা বায়ু তো রাজস্থানেও প্রবেশ করছে! তাহলে কেন থর মরুভূমির তাপমাত্রা পশ্চিমবঙ্গের মতো হচ্ছে না! এই ঘটনারও ব্যাখ্যা দিচ্ছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ দের মতে, রাজস্থানে উষ্ণ বায়ু প্রবেশ করলেও সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
আবহাওয়ার হিসেব-নিকেশ বলছে, এখনো পর্যন্ত রাজস্থানে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সক্রিয় রয়েছে। আর সেই কারণেই মাঝেমধ্যে বৃষ্টি ও ঝড়ো হওয়ার দাপট দেখা দিচ্ছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজস্থানের মাটি তাপ ছেড়ে দিচ্ছে। একটানা গরম হয়ে না থাকায় তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখীতা কম দেখা যাচ্ছে। এদিকে, আফ্রিকা থেকে ধেয়ে আসার শুষ্ক বাতাস ক্রমে এগোচ্ছে পূর্বের দিকে। মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড টপকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে গরম বাতাস।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।