সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: শিশুর জন্মের পর ডিপ্রেশনের শিকার হন অনেক মা। তবে শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করা হলেও মানসিক সুস্থতার কথা চিন্তা করেন কজন! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মানসিক সুস্থতার দিকে খেয়াল থাকে না অধিকাংশ মানুষের। একজন নতুন মায়ের ক্ষেত্রেও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রতি সে কথা পুনরায় মনে করালেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। বলিউডের (Bollywood) ডিভা আলিয়া (Alia Bhatt) তাঁর কন্যা সন্তান রাহার (Raha)জন্মের পর অবসাদের শিকার হয়েছিলেন। সেই গুরুতর সমস্যা থেকে, কিভাবে মুক্তি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী?
বলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ব্যস্ততম অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। রণবীর কাপুর কে বিয়ের করার পর সুন্দর সাজানো সংসার গড়ে তুলেছেন তিনি। অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই জন্ম দিয়েছেন ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে রাহার। বাবা রণবীরের কোলে থাকা ছোট্ট রাহাকে দেখে আবেগে ভাসেন সকলেই। আলিয়া এবং রণবীর কাপুরের জীবনের কেন্দ্রমণি এখন এই ছোট্ট অতিথি। রাহার জন্মের পরে নতুন করে দিগন্ত খুঁজে পেয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। কিন্তু ছোট্ট ফুটফুটে সন্তান রাহার জন্মের পর ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন আলিয়া! অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে লড়াই করেছিলেন অভিনেত্রী। নতুন মায়েদের জন্য সেই পুরাতন কাহিনী তুলে ধরেছন রণবীর অর্ধাঙ্গিনী আলিয়া।
সন্তানের জন্মের পর বেশিরভাগ মায়েরাই শিকার হন অবসাদের। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন’। সন্তানের জন্মের পর একজন মায়ের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বদলে যায়। তখন নতুন মায়েরা একেবারেই সন্তান কেন্দ্রিক হয়ে পড়েন। কখনো কখনো দেখা যায়, বিশেষ কোনো কারণে মায়েদের মধ্যে অপরাধবোধ জন্ম নিচ্ছে, অকারণে মন খারাপ হচ্ছে, ঘুম না আসা, খিদে না পাওয়া, ক্লান্তি ভাব জন্ম নিচ্ছে। এরকম অল্প কিছুদিন হলে তাও ঠিক আছে। কিন্তু যদি ক্রমাগত এই সমস্যা চলতে থাকে তাহলে অবশ্যই ভেবে দেখা প্রয়োজন।
সন্তানরা রাহার জন্মের পর ‘পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের’ শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সমস্যার কথা খোলাখুলি আলোচনা করেছেন আলিয়া। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, মেয়ের জন্মের পর তাঁর সারাক্ষণ মনে হত, ছোট্ট মেয়েটির প্রতিপালন ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে তো? তাকে পালনের পদ্ধতি ঠিকভাবে মানছেন তো, নতুন মা হিসেবে তার নয়া দায়িত্ব তিনি ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন তো? অভিনেত্রীর আরো মনে হতো সবাই তার বিষয়ে কি ভাবছে। কেউ হয়তো তাকে এসব বিষয় সরাসরি কথা বলত না, তবুও অভিনেত্রীর মনে সব সময় এ ধরনের কথা ঘুরতে থাকতো। অভিনেত্রী বলেন তিনি সর্বক্ষণ এইসব ভাবতে থাকতেন।
এখানে গুরুতর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নতুন মা আলিয়া নিয়মিত যেতেন থেরাপি নিতে। তিনি জানান, অনেকগুলি থেরাপির পর তিনি বুঝতে পারলেন, মাতৃত্ব একদিনের বিষয় নয়। এখানে রোজ কিছু না কিছু শেখার আছে। আর সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো, মাতৃত্বে কাউকে অনুসরণ করলে চলবে না। ধীরে ধীরে নিজেকে সবটা শিখে নিতে হবে। এছাড়াও অভিনেত্রী বলেন, যেহেতু তার পেশা অভিনয়, তাই সেখানে শরীর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরী। পর্দায় নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে হলে চেহারা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
আলিয়া বলেন, রাহার জন্মের পর ওজন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অনেক মায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় মাতৃত্বের পর ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে অথবা দ্রুত হারে ওজন কমছে। তাই সন্তানের জন্মের পর নিজের কর্মজগতে পুরোদমে ফিরতে শরীরচর্চা এবং স্বাস্থের খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিয়মিত থেরাপি নিতেন অভিনেত্রী। এভাবেই ধীরে ধীরে অবসাদ কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। নবাগতা মায়েদের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী বলেন, সন্তানের জন্মের পর যদি এরকম অবসাদ আঁকড়ে ধরে, তবে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ না করে অবশ্যই পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।