সাতকাহন প্লাস নিউজ ডেস্ক: সর্বদাই চর্চার কেন্দ্রে টলি অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)। প্রায়শই নানান গুঞ্জন তাড়া করে বেড়ায় তাঁকে। সম্প্রতি আদৃত রায়ের (Adrit Roy) বিয়ের আবহে আরও চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন মিঠাই (Mithai) আদৃত-কৌশাম্বির (Adrit Kaushambi Marriage) বিয়েতে সৌমিতৃষার উপস্থিত না হওয়া চারিদিকে যেন শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সবার নজর অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া। এই আবহে কী বলছেন মিঠাইরানি? অভিনেত্রী সৌমিতৃষার (Soumitrisha Kundu) স্পষ্ট জবাব, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কারোর কোনো ধারনাই নেই।
চর্চার কেন্দ্রে ‘মিঠাইরানি’
জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেই সকলের নজর কেড়েছিলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু। তবে যত সময় এগিয়েছে, অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়েছে। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের একটানা সাফল্য আদৃত-সৌমিতৃষাকে খ্যাতির চূড়ায় নিয়ে গেছে। পর্দায় তাঁদের রসায়ন দেখে অভিভূত হয়েছেন দর্শক। সকলেই চেয়েছিলেন বাস্তব জীবনেও মিলে যাক মিঠাই -উচ্ছেবাবুর চার হাত। যদিও সবাইকে অবাক করে পর্দার দিদিয়া কৌশাম্বি চক্রবর্তীর প্রেমে পড়েন ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের নায়ক। শোনা যায়, এরপর থেকেই মিঠাই ও উচ্ছেবাবুর দূরত্ব শুরু।
যথারীতি শেষ হয়ে যায় ধারাবাহিক। তারপর থেকে সৌমিতৃষার কেরিয়ার গ্রাফ আরও উপরের দিকে। টেলিভিশন পর্দার অভিনেত্রী সৌমিতৃষা নিজের দক্ষতায় জায়গা করে নিলেন দেবের সিনেমায়। ‘মিঠাই’ থেকে ‘প্রধান’ সিনেমার ‘রুমি’ হয়ে উঠলেন তিনি। স্বপ্নের জার্নির মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে ফেলে এলেন পুরনো স্মৃতি। মোদক পরিবারের থেকে দূরত্ব তৈরি হলো অভিনেত্রী সৌমিতৃষার। সকলের থেকে দূরত্বে যেতে অভিনেত্রীকে অহংকারি তকমা দিলেন নেটিজেনেেরা। যদিও সেই তকমা মানতে নারাজ বড়পর্দার রুমি।
‘মিঠাই’ থেকে ‘রুমি’, জল্পনা আলোচনার কেন্দ্রে
জীবনে চলার পথে বহু মানুষকে পেরিয়ে আসতে হয়। তাই কি সহকর্মীদের আনফলো করেছিলেন মিঠাইরানি? সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথা শুনে অবাক হয়ে যান মিঠাই। সচকিত উত্তরে বলেন, আমি এত ফেমাস! যদিও এ সব কথাই হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন দেবের নায়িকা রুমি। তবে জল্পনা তাঁর পিছুছাড়া করে না। আদৃত কৌশম্বীর বিয়ের আবহে নতুন করে জল্পনা শুরু হলো অভিনেত্রী সৌমিতৃষাকে নিয়ে। অনেকেই বলছিলেন, উচ্ছেবাবুর সঙ্গে সম্পর্ক তেতো হয়েছে নায়িকার। সেকথা কি আদৌ সত্যি? বিষয়টি নিয়ে দুজনের কেউ মুখ খোলেননি। তবে কাজে-কর্মে বুঝিয়ে দিয়েছেন দূরত্ব বেড়েছে আদৃত-সৌমিতৃষার।
“আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কারোর কোন ধারনা নেই…”
বছরের শুরুতে এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সৌমিতৃষা বলেছিলেন, তিনি মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলেই ভালো হত। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ অনেক বেশি আসক্ত। যার কারণে আশপাশের পরিবেশের সম্পর্কে অসচেতন হয়ে উঠেছে মানুষ। তিনি স্বীকার করে নেন, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত তিনিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল মনে মনে কষ্ট দিয়েছে মিঠাইকে। তবে এখন বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “এখন আমি অবাক হয়ে যাই যখন আমাকে নিয়ে চর্চা হয় না। আমি ভাবি আমার জনপ্রিয়তা কমে গেল নাকি!”
এরপর অভিনেত্রী বলেন, “লোকে ভাবেই আমি অনেক বেশি বহির্মুখী। আমার জীবনে যা ঘটছে তার সবই আমি সমাজমাধ্যমে তুলে ধরি। কিন্তু এই ধারণা মোটেই ঠিক নয়। আমি ব্যক্তিগত জীবনকে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় তুলে ধরি না। আমার জীবনে কি ঘটছে সে বিষয়ে কারোরই ধারণা নেই।” সৌমিতৃষার কথা সত্যি হলো ঠিকই। আদৃতর বিয়ের দিন মিঠাইরানি কেন অনুপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে আসল তথ্য জানা নেই কারোর। মুখ খুলতে নারাজ নব দম্পতি কিংবা সৌমিতৃষা নিজে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন সবাই। সত্যিই কি মান অভিমান নাকি অন্য কারণ? রহস্য দানা বাঁধছে ক্রমে।
বিনোদন, টেলিভিশন, লাইফস্টাইল, ট্রাভেল, ব্যবসা, টেকনোলজি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও খবর পেতে জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
বাংলার খবর, বাঙালির খবর। আমরা আপনাদের কাছে দ্রুত খবর পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।